উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির সঙ্গে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা অতিরিক্ত জলের ফলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এর জেরে পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ি রাস্তায় একাধিক জায়গায় ধস নামায় যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ। নিরাপত্তার স্বার্থে দার্জিলিংয়ের বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্রও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে বহু পর্যটক দ্রুত পাহাড় ছাড়ছেন এবং কলকাতায় ফেরার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রেল যোগাযোগও।
পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা (NBSTC) বিশেষ বাস পরিষেবা চালু করেছে। আজ, রবিবার শিলিগুড়ি থেকে কলকাতাগামী তিনটি স্পেশাল বাস চলবে। এর মধ্যে একটি বাস তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ছাড়বে, যার টিকিট অনলাইনে বুক করা যাবে। এছাড়া বিকেল ছটা এবং সন্ধ্যা সাতটায় আরও দুটি বাস ছাড়ার কথা জানানো হয়েছে। বাসের টিকিট স্ট্যান্ড থেকেও কেনা যাবে। প্রয়োজন হলে শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে অতিরিক্ত বাস চালানো হতে পারে বলেও পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রবল বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন রেললাইনেও জল জমে রয়েছে। ফলে বহু দূরপাল্লার ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, আবার কিছু ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। রেল দপ্তর এ বিষয়ে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
সময় পরিবর্তন:
১৩১৪২ নিউ আলিপুরদুয়ার–শিয়ালদহ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে ১৮:৩০ মিনিটে ছাড়বে।
যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত:
১৫৭০৪ বঙ্গাইগাঁও–নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেনটি আপাতত নিউ কোচবিহার পর্যন্ত চলবে। নিউ কোচবিহার–নিউ জলপাইগুড়ি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
ঘুরপথে চলবে যে ট্রেনগুলি:
২০৫০৩ ডিব্রুগড়–নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস ও ১২৪২৩ ডিব্রুগড়–নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস — দুটি ট্রেনই নিউ কোচবিহার ভায়া মাথাভাঙা রুটে চালানো হবে। এছাড়াও আরও কয়েকটি ট্রেন ঘুরপথে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।