আগামী 22 সেপ্টেম্বর 2025 থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয়া নবরাত্রি, আর সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে নতুন জিএসটি কাঠামো। এর ফলে শ্যাম্পু, সাবান, শিশুপণ্য, স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বহু জিনিসপত্র আগের চেয়ে সস্তা হবে। সারাদেশে নতুন ব্যবস্থা কার্যকর রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সেই কারণেই জিএসটি-সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য আলাদা একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে। নতুন হারের বিলিং বা ছাড় সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম চোখে পড়লে এখানেই অভিযোগ জানানো যাবে।
জাতীয় গ্রাহক হেল্পলাইনের (https://consumerhelpline.gov.in
) ইন্টিগ্রেটেড গ্রিভান্স রিড্রেসাল মেকানিজম (IGRAM) পোর্টালে জিএসটি সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য তৈরি হয়েছে আলাদা বিভাগ। সেখানে অটোমোবাইল, ব্যাংকিং, FMCG এবং ই-কমার্সের মতো খাতভিত্তিক উপ-বিভাগও রাখা হয়েছে।
গ্রাহকরা টোল-ফ্রি নম্বর 1915, এনসিএইচ অ্যাপ, ওয়েব পোর্টাল, হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস, ইমেল কিংবা উমঙ্গ অ্যাপ ব্যবহার করে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারবেন। পরিষেবাটি পাওয়া যাবে ১৭টি আঞ্চলিক ভাষায়—যার মধ্যে রয়েছে হিন্দি, ইংরেজি, বাংলা, তামিল, গুজরাতি এবং অসমিয়া। অভিযোগ জমা দেওয়ার পর গ্রাহককে একটি আলাদা ডকেট নম্বর দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে অভিযোগের অগ্রগতি ট্র্যাক করা সম্ভব। অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তথ্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানি, সিবিআইসি এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে।
শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভিযোগ পোর্টালের মাধ্যমে বোঝা যাবে, হারে ছাড় দেওয়া হলেও তা গ্রাহকের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে কি না। ফলে খুচরো বাজারে কর সংস্কারের কার্যকর প্রয়োগ সহজ হবে।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার আলাদা একটি পোর্টাল চালু করেছে, যেখানে গ্রাহকরা জিএসটি কার্যকরের আগে ও পরে দাম তুলনা করতে পারবেন। এর ফলে কোন পণ্যে কতটা সাশ্রয় হচ্ছে তা সহজেই জানা যাবে। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা হলো **http://savingwithgst.in**।
সেখানে খাদ্যদ্রব্য, গৃহস্থালি সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স, স্ন্যাকস-সহ নানা বিভাগ আলাদা করে দেওয়া আছে।